নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। আগামী বুধবার থেকেই এই বাড়তি দাম বাস্তবায়ন করতে চান তারা। ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চে। গতকাল রবিবার তার সময় শেষ হয়ে গেছে। ফলে এখন বেশি ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে, বাজারেও ছাড়তে হবে বলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর পক্ষে।
ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন রবিবার (৩০ এপ্রিল) বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয়; অর্থাৎ বাড়ানোর কথা বলে আবেদন করেছে।
আগের হারে এখন ভ্যাট আদায় হবে বলে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ২০৫ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১ হাজার ৫ টাকা, এক লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৪ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১২৯ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে বলে সমিতিটি দাবি করছে। আগামী ৩ মে বুধবার নতুন দর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সমিতি।
বর্তমানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের আনুষ্ঠানিক দাম ১৯০ টাকা। এর আগে গত ১৭ নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে সমিতি। তারও আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১৭৮ টাকা।
সমিতিটি বলেছে, গত বছরের ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তার মেয়াদ রবিবার শেষ হচ্ছে। সোমবার (১ মে) থেকে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে। এ ছাড়া উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে আজ থেকে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনটির মেয়াদ বাড়াতে চলতি মাসের শুরুর দিকেই আমরা এনবি আরকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এনবিআর থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।’ বাণিজ্যসচিব বলেন, প্রজ্ঞাপনটি রবিবার উঠে গেলেও ভোজ্যতেলের দামের ওপর প্রভাব এখনই পড়ার কথা নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
এদিকে চিনিতেও আমদানি পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছিল এনবিআর। এছাড়া প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর প্রযোজ্য ৩ হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। শুল্ক কমানো হলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। কেজিতে ৫ থেকে সাড়ে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমার কথা থাকলেও উল্টো চিনি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
আমাদের পেইজ- https://www.facebook.com/dailykhoborerdakgor/
আমাদের গ্রুপ- https://www.facebook.com/groups/dailykhoborerdakgor/
আমাদের ইউটিউব- https://www.youtube.com/channel/UC9r4_s-LK0mucm34GjjmZqg