ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার মেঘনা নদীতে জেলে ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১১ জেলে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহত ১১ জনের কোনো তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার (১৭ জুলাই) ভোরে জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহির উদ্দিনের মেঘনা নদীর আবদুল্লাহপুর নামক জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা পুলিশ সুপার মো: সাইফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ দুইজনের তথ্য নিশ্চিত করলেও প্রকৃত ঘটনার বিস্তারিত কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি।
গুলিবিদ্ধ দুই জেলে নোয়াখালী জেলার আলেকজান্ডার এলাকার মো. সোহেল মাঝি (৩৫) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৩০)। আহত ১১ জনের মধ্যে ৩ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন সোহেল মাঝির ট্রলারের মো. লিটন, হোসেন ও বেছু।
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ দুইজনের শরীরে ৭০-৮০টি ছোড়া গুলির চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তারা দু'জন শঙ্কামুক্ত।
গুলিবিদ্ধ সোহেলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা জেলে রাসেল ঢাকা মেইলকে জানান, 'ভোর ৪টার দিকে তিনি দেখতে পান সোহেল তার জালে পেঁচিয়ে নদীতে ভাসমান অবস্থায় পড়ে আছেন। তাৎক্ষণিক তিনি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ সোহেল জানান, রোববার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি জলদস্যু বাহিনী তার ট্রলারে হামলা চালিয়ে ট্রলার থাকা ৬ জনকে নদীতে ফেলে ট্রলার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি জলদস্যুদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাকি ৫ জনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
গুলিবিদ্ধ অপরজন জানান, তার ট্রলারেও একই জায়গায় জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনিসহ তার ট্রলারে ৭ জন ছিলেন। তিনি বাকি ৬ জনের বিষয়ে কিছু জানেন না।’
গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ভোলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনাটি কি জলদস্যুরা করেছি, নাকি এ ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
আমাদের পেইজ- https://www.facebook.com/dailykhoborerdakgor/
আমাদের গ্রুপ- https://www.facebook.com/groups/dailykhoborerdakgor/
আমাদের ইউটিউব- https://www.youtube.com/channel/UC9r4_s-LK0mucm34GjjmZqg