সারাদেশ

চরফ্যাশনে ব্যবসায়ী সবুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদে প্রতিবাদের ঝড়

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২৫ , ১০:২২:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ


ভোলার চরফ্যাশন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে “সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে সংবাদ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও বিশিষ্টজনসহ সাধারণ মানুষ। তারা সবুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিবাদে তারা জানান, সাইফুল ইসলাম সবুজ একজন পরোপকারী মানুষ। দীর্ঘদিন যাবত এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অসহায় এবং বিপদগ্রস্থ মানুষকে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে সহায়তা করে আসছেন। এমন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে একটি মহল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে।

প্রকাশিত সাংবাদ ও চরফ্যাশন থানার ৫৭২ নং জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের বায়তুর মামুর জামে মসজিদের সামনে সকাল সাড়ে ৬টার সময় (ফজর নামাজ শেষে) মুসল্লীদের সামনে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম মুকুলের পিতা শফিকুল ইসলাম তৈয়বকে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও পরিবারের কাউকে সুযোগমত পেলে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছে সবুজ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে উল্লেখ্য মসজিদের খতিব মাওলানা মো. হান্নান, সেক্রেটারি মাস্টার ওমর ফারুক ও ঘটনার দিন উপস্থিত থাকা মুসল্লী নূরনবী ভুঁইয়া, মাষ্টার আব্দুল মালেক, আব্দুল আজিজ, জয়নাল আবেদিন মাষ্টারসহ প্রায় ১৫ জনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাইফুল ইসলাম সবুজ কোন ধরনের গালমন্দ বা পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় নাই। তারা আরও বলেন, সাংবাদিক মুকুলের পিতা শফিকুল ইসলাম তৈয়বসহ আমরা ফজর নামাজ শেষে মসজিদের সামনে কথা বলছিলাম, এমন সময় সাইফুল ইসলাম সবুজ সেখান দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। তাকে দেখে হঠাৎ তৈয়ব মিয়া ক্ষেপে যান এবং সবুজকে বলতে থাকেন তুই নাকি আমাদেরকে মারবি, হত্যা করবি। মুসল্লিরা সবুজকে ডেকে আনেন এবং জিজ্ঞেস করেন। তখন সবুজ বলেন, আপনারা আমার আত্মীয়-স্বজন, এমন কথা আমি কেন বলব। যার কাছে বলেছি আপনি তাকে নিয়ে আসেন, যদি সত্য প্রমাণ করতে পারেন তাহলে মুসল্লীরা যেই শাস্তি দিবে আমি সেটা মাথা পেতে নেব। এরপর সাইফুল ইসলাম সবুজ বাড়ি চলে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, সাংবাদিক মুকুল আমার মামাতো বোনের ঘরের ভাগিনা। ছোট থেকে ওকে আমরা কোলে-পিঠে করে বড় করেছি। মুকুল ও তার পরিবারের সাথে আমার কোন বিরোধ বা শত্রুতা নেই। একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে নিকটাত্মীয় হয়েও সাংবাদিক মুকুল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণে আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের সঠিক বিচার চেয়েছেন সাইফুল ইসলাম সবুজ।

সাংবাদিক মুকুলের নিকট হত্যার হুমকি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা মসজিদের মুসল্লী নূরনবী ভুঁইয়া ও আব্দুল আজিজকে জিজ্ঞেস করলে সত্য ঘটনা জানতে পারবেন। উল্লেখ্য দুজনের বক্তব্য অনুযায়ী সেদিন সবুজ কর্তৃক সাংবাদিক মুকুল ও তার পরিবারকে গালমন্দ বা হত্যার হুমকির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা সম্পুর্ন মিথ্যা ও সাজানো নাটক বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা। যার সকল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।

আরও খবর

Sponsered content